ভাইরাল ভিডিও, ভাইরাল খবর, মৃত দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার আগেই জীবিত হয়ে উঠলো
ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু ঘটনা ঘটে চলেছে। যা অনেক সময় আমরা জানতে পারিনা। আবার অনেক সময় গল্প আকারে জানতে পারলেও অনেক সময় বিশ্বাস করে উঠতে পারি না।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আর কোন ঝামেলা ঝক্কি নয়। প্রতিনিয়ত একটা না একটা জিনিস ভাইরাল হতেই থাকে। ব্যস্ততার মধ্য দিয়েও কম-বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকেন। এরই মধ্যে কোন কিছু ভালো লাগলে তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। তবে সেটা হাস্যকর ছবি হোক বা হাস্যকর ভিডিও, নেট দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ভাইরাল হতেই থাকে।

তবে এমন কিছু ভাইরাল ভিডিও আমাদের সামনে উঠে আসে যেগুলো দেখে আমরা হাসব না দুঃখ অনুভব করব বুঝে উঠতে পারিনা। সম্প্রীতি একটি ভিডিও নেটদুনিয়ায় খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বৃদ্ধ মানুষকে শবদেহের খাটিয়ায় বেঁধে মৃত্যুশয্যায় সাজিয়ে শেষ কার্য সম্পন্ন করবার জন্য শ্মশানের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছে কয়েকজন।

শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার আগেই বিশ্রাম করার জন্য এক জায়গায় সেই খাটিয়া রেখেছিলেন শ্মশান যাত্রীরা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খাটিয়া সমেত ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ টি কড়া রোদের মধ্যে রেখে দিয়েছে। তবে তারপরে ঘটে যাওয়া কান্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ শ্মশানের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাত্রীদের। হঠাৎ খাটিয়া থেকে মরা মানুষটি নড়েচড়ে বসে।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যভবনে ডেকে পাঠালেন মুখ্যসচিবকে, ভোট-পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট না পাওয়ায় বিস্ফোরক টুইট রাজ্যপালের

এরপর ওই মৃতদেহটি আচমকাই খাটের উপর উঠে বসে। গলায় রজনীর মালা, চোখে তুলসী পাতা দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শ্মশান-এ। আচমকা খাটিয়ার উপরে বসে গলার মালা ও চোখে তুলসী পাতা ফেলে দিতে দেখা যায়। খাটিয়ার সঙ্গে তাঁর দেহ বেঁধে রাখা হয়েছিল। এরপর এক ব্যক্তি সমস্ত ধরি কেটে দেন এবং ওই ব্যক্তিকে খাটের উপর বসে মাথা দোলাতে থকেন। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

তবে আপনাদের সামনে তুলে ধরা এই ভিডিওটি কতদিনের পুরনো ও কোথাকার সেটা পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্ক এর পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। তবে ভিডিওটা দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে, যে এটা ভারতের অন্য কোন রাজ্যের নয়। ভিডিওটিতে বাংলা ভাষাতেই কথা বলতে শোনা গিয়েছে। এই ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গেরই হতে পারে। তাদের বাংলা ভাষা আমাদের রাজ্যের মতই। সেই অর্থে আমরা পশ্চিমবঙ্গের কথাই উল্লেখ করেছি। তবে আরও একবার বলে রাখি এই ভিডিওটি কোথাকার ও কবে কার সেটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।