viral video, doctor, assam, হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে বেধড়ক মার
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গোটা দেশ জর্জরিত মহামারী করোনা ভাইরাস-এ। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের লাইন পড়ে গিয়েছে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাজ করে চলেছেন চিকিৎসকরা।

দিনরাত এক করে তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন। এমনকি তারা পরিবারের সদস্যদের দূরে সরিয়ে রেখে নিয়মিত কাজ করে চলেছে। অনেক চিকিৎসক আবার নিজের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এই মহামারিতে। এমন অবস্থাতেও শেষ কার্য সম্পন্ন করে নিজেদের ডিউটি পালন করছে ভগবান রুপি এই চিকিৎসকরা।

তবে এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও রোগীদেরকে চিকিৎসা করার পরও বেধড়ক মারধর করা হলো এক চিকিৎসকে। যা ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।

ঘটনাটি ঘটেছে আসামের একটি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে করোনা রোগীর মৃত্যু হওয়ায়, ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা লাথি-ঝাটা এমনকি স্টিলের বাসন পত্র নিয়ে মারধর শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক-কে। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।

জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার আসামের পিপাল পুখুরি গ্রামের বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে উদালি মডেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালে সিয়ুজ কুমার সেনাপতি নামে এক চিকিৎসক কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। গিয়াসউদ্দিন নামের ওই করোনা আক্রান্ত রোগীকে দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি চিকিৎসা শুরু করেন এবং দুপুর দুটো নাগাদ তার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে বলে তার পরিবারের সদস্যদের কে জানান।

এরপর চিকিৎসক যখন রোগীর কাছে যান তখন গিয়ে দেখেন রোগী মারা গিয়েছেন। অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তবে এই খবর রোগীর পরিবারের সদস্যদের কে জানালে তারা তা মানতে চান নি। তারা কোনো কিছুই শুনতে চাই নি ডাক্তারের কথা। বরঞ্চ গিয়াসউদ্দিনের মৃত্যুকে ঘিরে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করে হাসপাতাল চত্বরে।

এরপর ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফ থেকে ১২-১৩ জন ব্যক্তি ওই চিকিৎসককে আক্রমন করতে থাকে। নিরাপত্তার জন্য চিকিৎসক সিয়ুজ কুমার সেনাপতিকে হাসপাতালের একটি রুমে তালা বন্দি করে রাখা হয়। তবে মৃত ব্যক্তির পরিজনেরা সেই তালা ভেঙে লাঠি ঝাঁটা এমনকি ইস্টিলের বাসন পত্র দিয়েও বেধড়ক মারধর করেন চিকিৎসক কে। যে, যে ভাবে পেরেছে সে সেভাবেই মারধর করেছে ওই চিকিৎসক-কে। বেশ কিছুক্ষণ মারধর করার পর অভিযুক্তরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়।

গুরুতর আহত হয় ওই চিকিৎসক। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তার চিকিৎসা শুরু করা হয়। এই ঘটনায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয়। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।