viral news, maharastra, rail police,
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ চলন্ত ট্রেনের সামনে হঠাৎ যদি ঝাঁপ দেওয়া হয় তাহলে কি হবে ? মৃত্যু অনিবার্য ! তবে এক মহিলা চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রাণে বেঁচে ফেরার কথা ছিল না তার। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেন। একেই হয়তো বলে কপাল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুম্বাইয়ের দাদার স্টেশনে।

ইতিমধ্যে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে হঠাৎ একটি মহিলা ট্রেন স্টেশন থেকে লাফিয়ে পড়েন রেললাইনের উপর এবং তাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে আর একজন ঝাঁপিয়ে পড়েন রেললাইনের উপর। তবে মুহূর্তের মধ্যেই স্টেশনে ট্রেন ঢুকে যায়। হাড় হিম করা এই ভিডিওটি দেখে অনেকেই জানিয়েছেন, এমন অবস্থায় বেঁচে ফেরা সত্যিই খুব কঠিন। ভাগ্যে ছিল বলেই তিনি হয়ত বেঁচে গিয়েছেন।

তবে এর আসল রহস্য কি? জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ের দাদার রেলস্টেশন থেকে এক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক রেল পুলিশ। তৎক্ষণাৎ স্টেশনে লোকাল ট্রেন আসতে দেখে ওই মহিলা। তখন তিনি আচমকাই ওই রেল পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে লোকাল ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আর একজন রেল পুলিশ। তবে তিনি কোন কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই ঝাঁপিয়ে পড়েন রেল লাইনের উপরে। সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে ট্রেন এসে পৌঁছায়।

কোন রকম বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই লোকাল ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। তবে এমন ঘটনা, এর আগে পর্যন্ত কোন স্থানে চোখে পড়েনি। ট্রেন চালক ও সতর্ক ছিলেন যার কারণে, ট্রেনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই গতি কমাতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, ওই রেল পুলিশ, রেল লাইনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাথে সাথে তাকে টেনে লাইন থেকে সরিয়ে ফেলেন। তারপর তিনি ওই মহিলার হাত শক্ত করে ধরে রাখেন। যাতে করে তিনি আর কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটান।

তবে নিজের জীবন বাজি রেখে, ওই মহিলার জীবন বাঁচিয়েছেন ওই রেল পুলিশ। ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে না হতেই ,ওই রেল পুলিশ কর্মীর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই। দিন কয়েক আগে এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল দাদার রেল স্টেশনে। সেদিন এক মহিলা স্টেশনের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তার ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে। তবে হঠাৎ বাচ্চা ছেলেটি পা ফসকে পড়ে যায় রেল লাইনের উপরে। অন্যদিকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসছে ট্রেন। বাচ্চা ছেলেটিকে বাঁচাতে এক রেলকর্মী ছুটে আসে। নিজের জীবন বাজি রেখে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে সবার সামনে রিয়েল হিরো হয়ে উঠেছিলেন ওই রেলকর্মী।