পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই সিনেমাটি বলিউডের অন্যান্য সিনেমার চেয়ে বেশি দর্শকদের সিনেমা হল মুখী করে তুলেছে। তবে এই সিনেমাটি নিয়ে বিতর্ক থামছে না রাজনীতিতে।
কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাতেক গখলে, এই সিনেমার পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী কে কটাক্ষ করে একটি পোস্ট করেছিলেন। টুইটারে ওই পোষ্টের পাল্টা জবাব জানিয়েছেন পরিচালক নিজেই। তবে পরিচালক কে কটাক্ষ করে কি লিখেছিলেন সাতেক ? তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাতেক গোখলে, বিবেক অগ্নিহোত্রীকে নিয়ে জানিয়েছেন, সেন্সর বোর্ডে নিজেই ছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। আর কোনও কাটছাঁট না করেই সিনেমাটির ছাড়পত্র দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড।
এছাড়াও তিনি আরও লিখেছেন, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই সিনেমাটিতে কর ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। এমনকী এই ছবি দেখতে যাওয়ার জন্য় সরকারি কর্মীদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে। এই ফিল্ম পুরোপুরি বিজেপি ও মোদী সরকারের প্রোপাগান্ডা।
তৃণমূল মুখপাত্রের এমন মন্তব্যের পাল্টা জবাব জানিয়ে বিবেক অগ্নিহোত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভুয়া খবর রটানো বন্ধ করুন। অন্তত মৃত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা করুন। বিবেক অগ্নিহোত্রী প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” এ বেশ কয়েকটি জায়গায় সেন্সর বোর্ড দ্বারা পরিবর্তিত করা হয়েছে। যেমন জাতীয় পতাকা মাটিতে পড়ে থাকা দৃশ্যটি বাদ দেওয়া হয়েছে। একটি জঙ্গির বাড়িতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকার দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই সিনেমাটিতে পণ্ডিত ও হিন্দু শব্দটি যে সকল স্থানে রূঢ়ভাবে উচ্চারণ করা হয়েছিল, সেই স্থান গুলিও বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একটি দৃশ্যে জেএনইউ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই শব্দটিও বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই সিনেমাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সঠিক ভাবে নিতে পারছে না বঙ্গের শাসক দল। তাছাড়া এই সিনেমাটি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশংসা করলেও নিন্দায় ফেটে পড়েছেন বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রীরা।