পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় ফের সরকার গঠন করবে তৃণমূল। ফের বিপুল সংখ্যক মার্জিনে জিতে সরকার গঠন করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমত অবস্থায় স্বভাবতই চিন্তায় বিজেপি সরকার। বাংলায় এবার ভোটের হাওয়া ছিল খুবই গরম। প্রথম থেকেই এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপি। এমত অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অমিত শাহ।
এবারে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে প্রথম থেকেই তৃণমূল এবং বিজেপি এর যুদ্ধ ছিল সাংঘাতিক। তৃণমূল কংগ্রেসকে এবারে কঠিন লড়াই দিয়েছে বিজেপি। এমত অবস্থায় তৃণমূল থেকে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা একে একে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
অনেকেই ভেবেছিল যে এবার বাংলা চলে যাবে বিজেপির দখলে। কিন্তু সে রকম তো হলই না বরং তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটা মার্জিনে বিজেপিকে হারিয়ে ফের বাংলার মদনদে নিজের আসন পাকা করল।
এবারে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে খুব বেশী ভাবে যুক্ত ছিল গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই ভোট গণনার মধ্যেই কার্যত নিজেদের পরাজয় মেনে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এছাড়াও টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় এবং চুঁচুড়ায় লকেট চ্যাটার্জির হারের সাথে সাথে এই ঘটনাকে আশ্চর্য জনক বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
অমিত শাহ বারবার বলে এসেছিলেন যে, বাংলায় ২০০ আসনে জিতবে বিজেপি। কিন্তু সেই আসন ১০০ তেও পৌঁছয়নি। এক্ষেত্রে যে বিজেপির হতাশা জনক ফলের জন্য অমিত শাহ বেশ নিরাশ।
এখনো গণমাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ কিছু না জানালেও, সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে বাংলার দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয় কাছে হারের জন্য কারণ জানতে চেয়েছেন তিনি।