মমতা বন্দপাধ্যায়, mamata banerjee, nandigram rally
ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে দ্বিতীয় দফার ভোট ১ লা এপ্রিল । নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ। তার বিপক্ষে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তার পুরোনো সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী।

রীতিমত আজি ভোট প্রচার এর শেষ দিন। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে জানিয়েছেন তিনি বিজেপি নেতা প্রলয় পাল কে কেন ফোন করেছিলেন।

তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, ‘শুনেছিলাম বিজেপি দলের মধ্যে কেউ কেউ আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। তাই আমি ফোন করেছিলাম। আর ভোট চাইতে ফোন করেছিলাম এতে দোষের কি আছে। কিন্তু এই কথোপকথন ভাইরাল করাটা অপরাধের মধ্যে পড়ে।’

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দল নেত্রী জানিয়েছেন, বঙ্গে দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী প্রলয় পাল কে ফোন করেন তিনি। ফোন করে জানান ১ লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বিজেপি কর্মী প্রলয় পাল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করবেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর কথা অমান্য করেন প্রলয় পাল। তারপর সেই অডিও ক্লিপটি নেট মাধ্যমে ভাইরাল করে বিজেপি। সেই অডিও ক্লিপ নিয়ে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি কম অপমান করেনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এদিন নন্দীগ্রামের জনসভায় অপমানের পাল্টা জবাব দিলেন মমতা। তিনি জানান ভোট চাইতে তিনি ফোন করেছিলেন এতে কোন দোষ নেই। আর এমন ভাবে কথোপকথন রেকর্ড করে প্রকাশ্যে ভাইরাল করবেন সেটা তিনি জানতেন না। তিনি জানিয়েছেন এটি একটি অপরাধের মধ্যে পড়ে।

এছাড়াও আজ নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ার সভা শেষে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ালেন মমতা। নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার দিন পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। তবে তার পরও বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পুরোটাই তিনি ঘুরেছেন হুইল চেয়ারে বসে।

mamata banerjee, TMC, তৃণমূল, মমতা বন্দপাধ্যায়, narendra modi, নরেন্দ্র মোদী
ছবিঃ ফেসবুক

আজ নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ার জনসভার শেষে তৃণমূল নেত্রী মঞ্চ থেকে বিদায় নেওয়ার পর জাতীয় সংগীত গাইবেন বলে মনে তৈরি হচ্ছিলেন দলীয় নেতারা। তৃণমূল নেত্রীকে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করায় তিনি জানান তিনি উঠে দাঁড়াবেন। চোট লাগা পায় কিভাবে উঠে দাঁড়াবেন তিনি ? এ নিয়ে চিন্তিত ছিল মঞ্চে উপস্থিত দলীয় কর্মীরা। শেষমেষ তিনি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও দোলা সেন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে উঠে দাঁড়ান। এরপর তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, ‘হাতজোড় করো, আমাকে ধরতে হবে না। আমি ঠেসান দিয়ে দাঁড়িয়েছি, পড়বো না’। এরপর তিনি এক পায়ে ভর দিয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে গেলেন।