সিএএ, CAA, শুভেন্দু অধিকারী, নাগরিকত্ব আইন
বাংলায় কবে থেকে চালু হবে নাগরিকত্ব আইন(CAA)? জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক বিরাট ঘোষণা করলেন। গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই গুজরাটের বাসিন্দারা পেতে চলেছে এদেশের নাগরিকত্ব, এমনটাই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর এহেন মন্তব্য শোনার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, গুজরাটের মত পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকত্ব আইন চালু হবে। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের মত দেশ থেকে আগত যেসকল অমুসলিম মানুষজন গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসনি জেলায় এসে বস-বাস করছে তাদেরকে ভারতের বাসিন্দাদের মত ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর ওই বিজ্ঞাপ্তিকে কেন্দ্র করে বিজেপির নন্দীগ্রামের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে কেন ? এটাতো সিএএ-র পার্ট। পশ্চিমবঙ্গেও এই নিয়ম চালু হবে সিএএ(CAA) আইন তো পাস করাই রয়েছে। একই আইনে মতুয়ারাও নাগরিকত্ব পাবেন।”

শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্য শুনার পর শোনার পর বিরোধী দলগুলি তরফ থেকে ভিন্ন মতামত সামনে আসছে। তার মন্তব্যকে কটাক্ষ করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “গুজরাটে ভোট হচ্ছে বলেই সিএএ(CAA) জেগেছে। সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে সামনে নিয়ে আসছে। সিএএ আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে এখনো তা কার্যকর হয়নি, পাকিস্তানের মানুষ এ দেশে এসে নাগরিকত্ব না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।”

এছাড়া তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “রাজনীতি ও ভোটের জন্য বিজেপি আর কত নাটক করবে ? হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে গুজরাটেও নির্বাচনের সময় ঘোষণা করার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি। এদিকে গুজরাটে ব্রিজ ভেঙে এত মানুষের মৃত্যু হল সেসব চাপা দেওয়ার জন্য ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজন করতে গিয়ে এই ঘোষণা করল।”

একই প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তীব্র কটাক্ষ তীর ছুড়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী কবে থেকে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন জানি না। ওরা ভোটের সময় এক কথা বলে ভোট ফুরালে অন্য কথা বলে।” এছাড়াও সুজন চক্রবর্তী শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে আরো বলেন, “গুজরাটে হয়েছে বলেই পশ্চিমবঙ্গে চালু হবে ? তাহলে নোটিফিকেশন কোথায় ? এখানে যারা রয়েছে, ভোট দেয় তারা নাগরিক। গুজরাটের জন্য এক আইন বাংলার জন্য অন্য এমন কিছু করার অধিকার সংবিধান দেয় নি।”