পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস আবারও সারা বিশ্বে মহামারীর রূপ নিয়েছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যেন আগের থেকে আরও তীব্র এবং মারাত্মক রূপে আছড়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বাদ যায়নি কোনও দেশ। তার মধ্যে ব্রাজিল এবং ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আগের বারের থেকেও আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে।
ইতিমধ্যে যদিও আবিষ্কার হয়ে গেছে করোনা ভাইরাসের টীকার। সারা বিশ্বে ইতিমধ্যে ৭৮০ মিলিয়ন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ব্যাবহার করা হয়ে গিয়েছে। তবুও যেন লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণের গতিতে। দাবানলের মত আবারও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ।
করোনা ভাইরাসের শুরুর সময় থেকে গত বছর পুরো চোখ রাঙিয়েছে করোনা ভাইরাস। নতুন বছরে টীকা বাজারে আসার পর সকলে নিউ নরমালে বিশ্বাসী হয়ে করোনা গাইড লাইন থেকে অল্প হলেও সরে এসেছিল। সেক্ষেত্রে আবারও মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে ফের বিশ্ব বাসীকে সতর্ক করল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু ( WHO)। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু ( WHO) এর প্রধান টি এ ঘেব্রেয়েসুস বলেন যে, ” করোনা বিদায় নিতে ঢের দেরী। কিন্তু একে দূর করার অস্ত্র আমাদেরই হাতে। সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। ”
২০১৯ এ চীন থেকে যে ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল তাতে প্রায় সারা বিশ্বে ১০ কোটির বেশী মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রাণ হারিয়েছে ২৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ জন। যদিও এই বছরে অনেকটাই করোনা ভাইরাসকে বাগে আনা গেছিল কিন্তু সাধারণ মানুষের অসতর্কতা, মাস্ক না পরা, সোশ্যাল ডিষ্টেন্সিং না মানা এই সমস্তই কাল হয়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এর ক্ষেত্রে।
এই বিষয় আবারও সকলকে সতর্ক করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু ( WHO)। তাদের মতে সমানে চালিয়ে যেতে হবে করোনা টেস্টিং এবং টীকা দেবার কাজ। সাথে মানতে হবে করোনা বিধি। সকলের ক্ষেত্রেই করোনা ভাইরাসের প্রভাব শরীরে থেকে যাচ্ছে। ষে জন্য আরও সতর্ক হতে হবে সকলকে।