পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেলো চটকল। আগামীতে বন্ধ হতে পারে আরও অনেক গুলি চটকল। এমত অবস্থায় কাজ হারিয়েছে প্রায় ২১,৫০০ জন শ্রমিক। চটকলের শ্রমিকদের বক্তব্য অনুযায়ী কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার কারুরই মাথা ব্যাথা নেই তাদেরকে নিয়ে। সেই কারণেই মোদী এবং মমতাকে জোড়া চিঠি দিতে তৈরি পাটকল।
পাটশিল্প সমস্যা অনেকদিন ধরেই চলছিল। তাই নিয়ে রবিবারই বৈঠকে বসে ২১ টি ইউনিয়ন। দীর্ঘক্ষণ চলে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে সমস্ত ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা জানায় যে, এই সমস্যা অনেক দিনের। রাজ্যে কাঁচা পাটের অভাব মেটানোর জন্য অনেক দিন ধরেই সমস্ত মন্ত্রীদের কাছে আবেদন করা হচ্ছিল। কিন্তু তাদের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে প্রাধান্মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, জুট কমিশনার, শ্রম কমিশনার এর কাছে এই বিষয় চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।
ইউনিয়নের সদস্যদের দাবী যে, প্রয়োজনে কেন বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট আনা হচ্ছে না। এছাড়াও তাদের দাবী কাঁচাপাট মজুত এবং দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এই বিষয় জুট কমিশনার, মলয়চন্দ চক্রবর্তী বলেন যে, ” কাঁচা পাট বেআইনি ভাবে মজুত করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া শেষ। পুরো বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এই প্রসঙ্গে সিটু অনুমোদিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু এবং আরএসপি এর সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন মন্ত্রীরা ভোটের তর্জাতেই ব্যস্ত। পাটশিল্পের এতো বড় সমস্যা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কোনও হেল দোল নেই।”
যদিও এই বিষয় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারের তরফেই কোনও উত্তর বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।