পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্ক:- রাজ্যে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানালো নির্বাচন কমিশন। শুধুমাত্র উপনির্বাচন হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। আর এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কথামত, একুশের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও নির্বাচন হয়েছে।
গোটা দেশজুড়ে মোট ৩১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তাহলে কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলে এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বর্তমান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন করেন, “কেন শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হল ? তার সুস্পষ্ট উত্তর নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গে আট দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে। করোনা আবহের মধ্য দিয়েই হয়েছে নির্বাচন। তবে করোনার বাড়বাড়ন্তির ফলে শেষ চার দফার ভোট একই সঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাসফুল শিবির ও তৃণমূল নেত্রীর কথা অমান্য করে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই তৃণমূলের একাধিক কর্মী সমর্থক ও নেতা-নেত্রীরা নির্বাচন কমিশনকে নিশানায় নিয়ে আক্রমণ করতে থাকেন। এছাড়াও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বর্তমানে তার হিতে বিপরীত।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “আজ কমিশনের সিদ্ধান্তেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, বিজেপির সঙ্গে কমিশনের কোনও যোগ নেই। বিজেপির সঙ্গে কোনও সেটিংও নেই। আর আমরা এটা কোনদিনও বলিনি যে, তৃণমূলের সঙ্গে কমিশনের সেটিং রয়েছে। ঘাসফুল শিবির ও তৃণমূল সুপ্রিমো বারবারই কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে শুধুমাত্র উপনির্বাচন হচ্ছে ভবানীপুরে। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ উপনির্বাচন নয়। কারণ ওই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে তো ভোটই হয়নি। তাহলে কেন নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল। দেশের বাকি ৩১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে কেন উপনির্বাচনের ঘোষণা করল না। এর সূস্পষ্ট উত্তর নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।”