পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ- আসন্ন বিধানসভা ভোট। এবার ভোটের কাজে বাস সংগঠনগুলি জানিয়েছে তারা আর বাস ভাড়া দেবেন না। আগামী লোকসভা ভোটে বাস ভাড়া দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেই বাস ভাড়া এখনও পাননি তারা। এমনটাই দাবি বেসরকারি বাস ও মিনিবাস কর্তৃপক্ষের।
বেসরকারি বাস ও মিনিবাস সংগঠন গুলি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচন কমিশনার যতগুলি বাস ভাড়া করেছিল। তার ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাসের ভাড়া এখনো পর্যন্ত পরিশোধ করেনি তারা। ২০১৯ সালে ৫০০০ বাস ও ১০০০ মিনিবাস নিয়েছিল ভোটের কাজের জন্য। তবে দুবছর হয়ে গেলো বেশিরভাগ বাস ভাড়ার টাকা এখনও পরিশোধ করেনি তারা।
এবার ভোটের কাজের জন্য বাস পাওয়া মুশকিল হয়ে উঠবে নির্বাচন কমিশনারের জন্য । তবে তারা জানিয়েছে, আগের পুরনো টাকা পরিশোধ করলেই। বাস ভাড়া দেওয়া হবে এবং তার সঙ্গে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। না হলে মিনিবাস ও বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি ভোটের কাজে বাস ভাড়া দেবে না বলে জানিয়েছে দিয়েছে সাফ সাফ।
বাস কর্তৃপক্ষের দাবি, মহামারী করোনার জেরে বহুদিন যাবৎ লকডাউন থাকায় তাদের ব্যবসায় বড় ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন ওঠার পর বাস চললেও তা খুব সীমিত সংখ্যায়। দিনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাস ও সাড়ে ৪০০ মিনিবাস চলছে। কিন্তু আগের লোকসভা ভোটের টাকা বাকি থাকায় অনেক ঘাটা হয়েছে গাড়ির মালিকানা দের। প্রতিদিনের যা রোজগার হচ্ছে তাতেই বেশ হচ্ছে। এবার বিধানসভা ভোটে গাড়ি ভাড়া খাটিয়ে আর ঘাটা করতে চাইনা বাস সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুনঃ- ‘রান্নাঘরে আগুন লাগিয়েছে’ মোদি সরকার ! চড়া গলায় তোপ মুখ্যমন্ত্রীর !
বাস সংগঠনগুলির শর্ত, পুরনো টাকাগুলি পরিশোধ করতে হবে এবং দিনের টাকা দিনেই দিতে হবে। ৫০০ টাকা করে বাসের ভাড়া প্রতিদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাস সংগঠন গুলি। এছাড়াও বাস চালক ও সহকারী চালক কে ৫০০ টাকা করে মজুরি দিতে হবে দৈনিক। তবে এ বছর বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনার বাস পাবে কিনা সন্দেহ।