buddhadeb bhattacharya, cpim, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, former Chief Minister
ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে করোনা আবহের মধ্য দিয়েই চলছে সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ। আজ কলকাতার চারটি আসনে হচ্ছে নির্বাচন ভোট। তারই মধ্যে কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রও আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সেখানকার ভোটার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

দেশজুড়ে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। করোনা সংক্রমণ এড়াতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাবেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচন ভোটের সময় অসুস্থতার কারণে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে পারেননি বুদ্ধবাবু। গত লোকসভা নির্বাচন ভোটে স্ত্রী মিরা ভট্টাচার্য ও কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্য ভোট দিয়েছিলেন।

সপ্তম দফার বিধানসভা নির্বাচনী ভোট দিতে স্ত্রী ও কন্যা ভোটের লাইনে দাঁড়ালে গৃহবন্দি হয়ে থাকলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গতবারের তুলনায় এখন কিছুটা সুস্থ থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট দিতে পারছেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন না।

জানা গিয়েছে, বুথ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যাতে ভোট দিতে পারেন, সেই জন্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল পার্টির তরফ থেকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণের আবেদন করা হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বয়স ৮০ বছরের নিচে হওয়ায় ভোট গ্রহণ করতে অস্বীকার করল নির্বাচন কমিশন।

তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীর ভালো থাকলেও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের অধিকার প্রয়োগ করবেন না বলে জানিয়েছেন। গোটা দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক অবস্থার জেরে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার আগে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেন বুদ্ধবাবু। চিকিৎসকরা সবদিক বিবেচনা করে ভোট না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

চিকিৎসকের পরামর্শই মেনে নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই ঘটনাকে ঘিরে বালিগঞ্জ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, “পার্টি শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে বলতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইনা উনি বাড়ির বাইরে বের হন।” প্রার্থীর মতে, এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বুদ্ধদেব বাবুকে ভোট দেওয়াটা অতান্তত জরুরী নয়।