পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রুপালি পর্দার তারকারা ঝাঁক বেঁধে রাজনৈতিক দলের নাম লিখিয়েছে। তার মধ্যে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন আবার অনেকেই তৃণমূল শিবিরে যোগদান করেছেন।
রুপালি পর্দায় জনপ্রিয়তা লাভ করলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই হেরে গিয়েছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ না করতে পেরে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী তাদের নিজেদের কর্ম জীবনে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। তবে অন্যদিকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল।
অগ্নিমিত্রা পাল এর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন সায়নী ঘোষ। ভোটে হেরে যাওয়ার পরও অভিনেত্রীকে নিরাশ করেনি তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকেই সায়নী ঘোষ কে যুব সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে প্রশ্ন তো থেকেই যায়, আরও অনেকেই তো ছিলেন, তাদেরকে কেন যুব সভাপতি করা হলো না ? সেই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষের হয়ে যেভাবে লড়াই করেছেন সায়নী ঘোষ সত্যি তার মত নেত্রী আর একটা পাওয়া খুবই দুষ্কর। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন, এমনকি মানুষের সব সমস্যার কথা শুনেছেন তিনি।
এতদিন যাবৎ যুব সভাপতি পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক দিক থেকে উচ্চতা ও সিনিয়ারিটি দেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকেই সমস্যার কথা বলতে সংকোচ বোধ করতেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, যে মানুষের সাথে মুহূর্তের মধ্যে মিশে যেতে পারে, আশা করি সে এমন একটা স্থানে যেতে পারলে সমস্ত মানুষ আর তাদের সমস্যা জানাতে সংকোচ বোধ করবে না।
তৃণমূল কংগ্রেসের কথা অনুযায়ী রাজনীতিতে সায়নী ঘোষ নতুন হলেও, তার মত দাপুটে নেত্রী দলে থাকলে দল আগামী দিনে ভালো একটা স্থানে পৌঁছাতে পারবে। আর মানুষের সমস্ত সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যাবে। আর তিনি দলের হয়ে জীবন দিয়ে কাজ করবেন বলেই জানা গিয়েছে।