
পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গত তিনদিন ধরে করুণাময়ীতে চলছিল আন্দোলন। কিন্তু সকাল থেকেই করুণাময়ী এলাকা সম্পূর্ণ ফাঁকা। বসার জন্য ব্যবহৃত পেপার এবং আন্দোলন করার পোস্টারের দেখা মিললেও আন্দোলনকারীদের কারোর খোঁজ নেই। কোথায় গেল তারা ? রাত যত বাড়ছিল, উত্তেজনাও ততই বাড়ছিল।
গত সোমবার থেকে, করুণাময়ী চত্বরে চলছে প্রাথমিকে ২০১৪ এর চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার এই তিন দিন আন্দোলন চললেও বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযান চালায়। মাত্র ১৫ মিনিটের অভিযানে, টেনে-হিচড়ে, পাজাকোলা করে আন্দোলনকারীদেরকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করে বিধান নগর থানার পুলিশ ও কর্মকর্তারা। ঠাসাঠাসি ভাবে তিনটি বাসে আন্দোলনকারীদেরকে তুলে নিয়ে যায় তারা।
করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ প্রশাসনের এমন আচার-আচরণ নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। তবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন অপর্ণা সেন। পুলিশ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে অপর্ণা সেন টুইট করে লিখেছেন, “অনশণকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!”
অনশণকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!
— Aparna Sen (@senaparna) October 21, 2022
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদেরকে করুণাময়ী চত্বর ছেড়ে উঠে যেতে বলা হয়। কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে চুল পরিমান নড়তেও রাজি ছিলেন না আন্দোলনকারীরা। তারপর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিধান নগর কমিশনারেটের পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দেয়।
তবে অপর্ণা সেনের মতোই শ্রীলেখা মিত্র তার ফেসবুক পেজে কিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “পড়াশোনা করে যে এ রাজ্যে চাকরি পায় না সে, বরং পুলিশের গাড়ি চড়ে সে।”
অন্যদিকে করুনাময়ী চত্বরে আন্দোলনকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছে বিজেপি ও বাম নেতৃত্ব। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে গোটা রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের ছবি তুলে ধরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন,”পশ্চিমবঙ্গের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর অমানবিক রূপ।”