পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের ফিরছে শীত, জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আপাতত ৩-৪ দিন তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিম্নমুখী হবে। কিন্তু তাপমাত্রার এই পতন বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আবহাওয়া দপ্তর মতে, আগামী ২২ তারিখের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হতে চলেছে। দেখে নেওয়া যাক কেমন থাকবে আজকের (১৮ই জানুয়ারি ২০২৩) আবহাওয়া –
আজকের আবহাওয়া
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাঃ ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাঃ ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণঃ ৬৯ শতাংশ
বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বনিম্ন পরিমাণঃ ৩৯ শতাংশ
বৃষ্টিঃ সম্ভাবনা নেই
বাতাসের গতিবেগঃ ১.৮ কিলোমিটার/ঘন্টা
সূর্যোদয়ঃ সকাল ৬টা ১৯মিনিট
সূর্যাস্তঃ সন্ধ্যে ৫টা ১৫মিনিট
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আগামী দুই থেকে তিন দিন হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলি শুষ্কই থাকবে। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই ভারী কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই সকালের দিকে সড়ক ও রেল পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষ বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে ও হাওয়া চলার কারনে শীত আসলের তুলনায় একটু বেশি অনুভূত হবে। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা এই মুহূর্তে ১২ ডিগ্রি থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পশ্চিমের জেলাগুলি আপাতভাবে শুষ্কই থাকবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো উপকূলের কাছাকাছি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ঘটতে পারে। সেই সাথে দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। দক্ষিণবঙ্গেও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মূলত কলকাতা শহরের উপর কুয়াশার দাপট পরিলক্ষিত হবে। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আপাতত ১৫ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।
আগামীকালের আবহাওয়া
আগামী ১৮ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে শীত বজায় থাকবে। তবে ২২ তারিখের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে আরো বেশ কিছুদিন শীতের দাপট বজায় থাকবে। আপাতত গোটা রাজ্যজুড়েই কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে পার্বত্য জেলাগুলি এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত বঙ্গোপসাগরে আবারও একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে বাংলার আকাশে। যার ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।