পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতে আবারও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা আবহের প্রায় দেড় বছর কেটে গেছে। এবার আবারও সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে সারা বিশ্বে নতুন করে ত্রাসের সঞ্চার করেছে এই করোনা ভাইরাস।
ঘণ্টায় ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার থেকে লাখে লাখে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যা মঙ্গলবার প্রায় এই বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে ১.৭ লক্ষ করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
সারা দেশের কয়েকটি বড় রাজ্যে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫৫ হাজার। এছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লী এবং কলকাতায় করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠায় কেন্দ্র সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতর এবং চিকিৎসকরা। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং রাজ্য জোট বেঁধেছে। একের পর এক ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর সাধারণ লোকের মধ্যে কিছুটা হলেও সচেতনতার অভাব দেখা গেছে। কোভিড প্রোটোকল অর্থাৎ মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ করা, দুরুত্ব স্থাপন, হাত ধোয়া, ভিড় থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা কোনটাই সঠিক ভাবে পালন করছে না সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন রাজ্যে আবারও ফিরে এসেছে লকডাউনের পরিস্থিতি। মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে লকডাউন এবং অনেক বিধি নিষেধ লাগু করেছে রাজ্যে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে চলছে বিধানসভা ভোট সেহেতু এই মুহূর্তে খুব বেশী রকম বিধিনিষেধ মেনে চলা সম্ভব নয়। তবে ভোট পর্ব মিটে গেলে রাজ্যে পরিস্থিতি কি রকম দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার।
দেশের স্বাস্থ্য সচিবদের সাথে রবিবার প্রধানমন্ত্রী করোনা নিয়ে বৈঠক করেন এবং কিছু নতুন নির্দেশাবলী জারি করার সিদ্ধান্ত নেন বিভিন্ন রাজ্যে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে এখনও ভোট পর্ব চালু আছে সেক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আলোচনা করে রাজ্যে নতুন করোনা নির্দেশিকা লাগু করবে বলে মনে করা হচ্ছে।