
পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ হঠাৎই ‘পাপ্পু’ শব্দটি নিয়ে শোরগোল পরে গিয়েছে মন্ত্রীমহলে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রকে নিক্ষেপ করে বলেন, ‘পাপ্পু’ খোঁজার তাগিদে তার ফেলে আসা দিনগুলির দিকে তাকানো উচিত। বাংলার সাংসদে করা উপহাস আজ তার দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ‘পাপ্পু এখন কে’ মহুয়া মিত্রের প্রশ্নে মিসেস সীতারামন আজ লোকসভায় একটি দীর্ঘ এবং উপহাসমূলক বক্তব্য পেশ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলি বয়কট করার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
সংসদের অন্যতম জ্বলন্ত বক্তা মহুয়া মৈত্র গতকাল অর্থনৈতিক অগ্রগতির দাবি নিয়ে সার, খাদ্য এবং রান্নার গ্যাসের মতো আইটেমগুলিতে উচ্চতর ভর্তুকি তহবিলের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেন। অর্থনীতির বিষয়ে কেন্দ্রের দাবি এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধাকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেন তিনি। তার দাবি, মোদি সরকার দেশবাসীকে ভুল পথ দেখিয়ে মিথ্যে স্বপ্ন যোগাচ্ছে। প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সরকার দেশবাসীকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে, ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবটা সম্পূর্ণই বিপরীত। কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে মহুয়া মৈত্র ভারতীয় অর্থনীতিতে পাপ্পুকে খোঁজার প্রশ্ন তোলেন।
গত বুধবার এই কটাক্ষের উত্তর স্বরূপ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থনীতির দিকে নজর না দিয়ে, নিজের বাড়ির উঠোনে তাকানো উচিত এবং পশ্চিমবঙ্গে পাপ্পুকে খুঁজে পাবেন। দেশে জনকল্যাণমূলক একাধিক স্কিম রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেগুলিকে বিতরন করে না। মানুষের জন্য তৈরি এই সমস্ত স্কিমগুলির ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের অধিক তৎপর হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে জনসাধারণ রাজনৈতিক দলগুলির হাতে দেশলাইয়ের বাক্স তুলে দেয় যাতে পরবর্তী কালে তারা জনকল্যাণমূলক কাজের দ্বারা দেশকে আলোকিত করতে পারে। কিন্তু দেশ আলোকিত করার পরিবর্তে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় দুর্বিষহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে সকলকে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীদের গাড়িতে হামলা এবং প্রচুর কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে।
তারপরে তিনি বিজেপির সর্বশেষ নির্বাচনী বিজয়ের দিকে ফিরে গিয়ে বলেন, গুজরাটে বিজেপি একটি চমৎকার বিজয় পেয়েছে। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। এটিকে বাংলার রাজ্য নির্বাচনের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, সেখানে কীভাবে ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়েছিল? যখন ক্ষমতা বিজেপি-র হাতে ছিল তখন উজ্জ্বলা, উজালা, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা, স্বচ্ছ ভারত অভিযান ইত্যাদি জনকল্যাণমূলক যোজনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যখন তৃণমূলের হাতে ক্ষমতা, তখন বিজেপি কর্মীদের লুটপাট, হত্যা এবং ধর্ষণের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।