পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদেরকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার কথায়, “আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না, চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে। আন্দোলনের ভিত্তিতে তো চাকরি হয় না।”
রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা চাকরিপ্রার্থীদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু বিরোধীরা চায় না নিয়োগ প্রক্রিয়া হোক। যার কারণে চাকরি প্রার্থীদেরকে দাবার গুটি সাজিয়ে বিরোধী দল সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এ দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “টেটের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু মামলা যেমন ন্যায়সঙ্গত। এমনও কিছু মামলা হচ্ছে, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। বিরোধীরা এই আন্দোলনকারীদের দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহার করছে। আন্দোলনকারীদের বলব আমাদের উপর ভরসা না রাখলেও কোর্টের উপর ভরসা রাখুন। নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে বিরোধীরা। বিরোধীরা রাজনৈতিক ধুয়ো দিয়েছে আন্দোলনে। আন্দোলন করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না, চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে। আন্দোলনের ভিত্তিতে তো চাকরি হয় না।”
এর পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি এদিন আরও বলেন, “শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার প্রার্থীরা চাকরি পেতে শুরু করেছেন। প্রধান শিক্ষকের রুল সংশোধন হচ্ছে। আগামী দিনে স্বচ্ছ নিয়োগ হবে। গতকাল দেখে আগামিকাল বিচার করলে হবে না।”
চাকরির দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন চালাচ্ছে টেট উর্ত্তীন্ন চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টে চলছে মামলা। এরই মধ্য দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন শিক্ষা মন্ত্রী। আন্দোলন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি এদিন বলেন, “জয়েন্ট দিয়ে সবাই চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হয় না। নেট পাস করেই সকলে চাকরি পায় না। সব কিছুরই নিয়ম আছে। আন্দোলন করলেই তো আর চাকরি পাওয়া যাবে না। বরং আন্দোলনের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “নিয়োগ সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে ও স্বচ্ছভাবে হবে। দুর্নীতিকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পূর্বে যা ভুল হয়েছে তা সংশোধন করা হচ্ছে। সকলেরই সহযোগিতা কাম্য। পাশাপাশি নতুন নিয়োগও আমাদেরকে চালু করতে হবে।”