পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আজ বঙ্গে তৃতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচনী ভোটগ্রহণ চলছে। তারই মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনী ভোট প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিনিয়ত নিয়ম করে শাহ, মোদী বঙ্গে আসছেন বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রচারে। সাথে সাথেই ভোট প্রচার নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ তো লেগেই আছে।
আজ তিনি কোচবিহারের সভামঞ্চের শুরুতেই তিনি জানিয়েছেন, “মাঠে যা লোক আছে তার থেকেও বহুগুণ মানুষ রাস্তায় আছেন। সেই জন্যই আসতে আমার দেরি হয়েছে। হিউম্যান ওয়াল ভেঙে আসতে হয়েছে আমায়। আপনাদের এই ভালোবাসা ভুলব না। ২ রা মে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর উন্নয়ন শুরু হবে।”
গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বালিতে একটি জনসভা করেন। সেখান থেকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, সাত বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছে মোদী, পশ্চিমবঙ্গে কী কী উন্নয়ন করেছে তার রিপোর্ট কার্ড সামনে আনতে বলেছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই বক্তব্যে পাল্টা জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “দিদি ও দিদি, আদরনীয় দিদি, অডিও টেপ আপনার ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড। বাংলায় নতুন করে একটি টেক্সট চালু করেছেন আপনি। সেটি হচ্ছে ভাইপো টেক্স। আপনি হেরে যাচ্ছেন দিদি। বাংলার মানুষের আওয়াজ শুনুন। সবাই আপনাকে বিদায় জানাচ্ছে।”
তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির একটি জনসভায় তিনি জানিয়েছিলেন, “সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেওয়া যাবে না।” সেই বক্তব্যে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “নির্বাচন কমিশনকে গালি দিচ্ছেন উনি। আমরা যদি বলতাম সব হিন্দু এক জোট হয়ে বিজেপিকে ভোট দাও। নির্বাচন কমিশন ৮ থেকে ১০ দিনের ভিতরে নোটিশ পাঠিয়ে দিত। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও নোটিশ আসতো। সব সংবাদমাধ্যমের হেডলাইন হয়ে দাড়াত। আপনি প্রকাশ্যে বলছেন মুসলিমরা এক হয়ে যাও। আমাকে ভোট দাও। আপনি নির্বাচন কমিশনের নীতি লংঘন করেছেন দিদি।”
এরপর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা চলাকালীন একটি মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থতার দৃশ্য চোখে পড়তেই তিনি সভা থামিয়ে বলেন, “আমার সঙ্গে যে ডাক্তাররা এসেছেন তারা একটু দেখুন। ওই মাকে জল দিন। আমার টিমের ডাক্তাররা ওনার কাছে জান এক্ষুনি ওনাকে দেখভাল করুন।”